ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৪৭

লন্ডন থেকে তারেক আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা, আদেশ বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
লন্ডন থেকে তারেক আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা, আদেশ বৃহস্পতিবার


দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে হাজির না হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসেই আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা সেবিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত জানাবেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের এ দিন ধার্য করেন।

গত ২৯ মার্চ পলাতক এ দুই আসামির পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার (৯ এপ্রিল) ধার্য করেন। এদিন দুপুর ১২টার কিছু আগে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে। উনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে। আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বলবেন, তাদের সুযোগ দিন। কিন্তু তারা লন্ডনে থাকবেন। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন তিনি। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (আসামি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করেন। আমরা মনে করি, এটা আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান। এরআগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছে। আবেদনটি খারিজ করে চার্জ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য করেন। এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

উপরে