ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৪৬

সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

 

সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বেশির ভাগ থানায় কর্মসূচি পালন করতে আওয়ামী লীগ বাধা দিয়েছে, পুলিশ বাধা দিয়েছে। ঢাকাতে পুলিশ কমিশনার বললেন বাইরে কোনো সমাবেশ করা যাবে না। কোন আইনে বললেন সমাবেশ করা যাবে না? অথবা আমাদের কেনো কর্মসূচি পালন করতে দিবেন না। এটা মগের মুল্লুক নাকি? আমরা খুব পরিস্কারভাবে লক্ষ্য করছি এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিরোধীদলীয় প্রোগ্রামগুলোতে উস্কানি দিয়ে, হামলা করে সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো কর্মসূচি দিয়েছি সবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নওগাঁয় সুলতানা জেসমিন হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে থালা-বাতি ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করতে মহিলা দলের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম কিভাবে বেড়েছে তা আপনারা সবচেয়ে ভালো জানেন। আপনারা থালা-বাতি, ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করতে পারেন। আপনারা রাস্তায় নামলে তখন সবাই নামবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় বলতে থাকে তারা সংবিধান মেনে চলবে। সেই সংবিধানে তো পরিষ্কারভাবে বলা আছে, আমার কথা বলার অধিকার দিতে হবে। প্রতিবাদ করার সুযোগ দিতে হবে। জেসমিনের হত্যাকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। যারা গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা মানুষ হত্যা করে, নির্যাতন করে, গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি যখন ২০১৫ সালে জেলে গিয়েছিলাম। তখন নারায়ণগঞ্জ সাত খুনের জড়িত র‍্যাব সদস্যদের সাথে কথা হয়। তারা বলেছিলো উপরের নির্দেশে কাজ করে। নির্দেশ ছাড়া কাজ করে না। এইভাবে নির্দেশ দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয় তাহলে সেই রাষ্ট্র কি আর রাষ্ট্র থাকে। এই বিষয়গুলো নিয়ে এখন প্রতিবাদ করার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, যখন আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তাদের অপরাধের কথা বলা হচ্ছে, তখনই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করা হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে আমরা প্রচুর প্রতিবাদ করেছি। সবাই প্রতিবাদ করছে। যেকোন আন্দোলনে বাধা আসবে, বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমক রহমান।

উপরে