
আমাদের ওপর কেন স্যাংশন দেবে? এ প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ওপর স্যাংশন দেয়ার তো কোনো কারণ দেখি না। আর যদি স্যাংশন দেয়া হয়, যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না
তিনি বলেন, আরেকটা সিদ্ধান্ত আমি নিতে বলেছি, এখন আবার ওই স্যাংশন দেয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের ওপর স্যাংশন, আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না।
সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আজকের এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখায় দেশের যেসব এলাকায় বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে আমরা রক্ষা পেয়েছি।
তিনি বলেন, সবাইকে আমরা যথাযথ সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছি। উপকূলের কয়েকটি জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র আমরা প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। সেখানে প্রায় সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়। আর যেসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো আবার মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। তা ছাড়া খাবার, পানি যা যা দরকার, সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাপান সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে আমি ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছাই। ২৬ এপ্রিল সকালে আমি জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি। সম্রাট আমাকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকে গার্ড অব অনার দিয়ে নিজ কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানান। এরপর জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের আমন্ত্রণে আমি ২৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাই। যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিনে ২৯ এপ্রিল অপরাহ্ণে আমার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ স্থাপন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং কভিড-১৯ মহামারিকালেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন।
যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে তিনি বলেন, ব্রিটেনের মহামহিম রাজার পক্ষ থেকে তার এবং রানি ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক ও অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ এবং কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমি ৪ থেকে ৮ মে যুক্তরাজ্য সফর করি।