ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
আপডেট : ১৫ মে, ২০২৩ ১৭:১৩

ঘূর্ণিঝড় মোখায় মহেশখালীতে ৩ লবণচাষির মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় মোখায় মহেশখালীতে ৩ লবণচাষির মৃত্যু


ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের কবল থেকে লবণ বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কক্সবাজারের মহেশখালীর তিন লবণচাষি। রোববার (১৪ মে) রাত ১০ টা ও ১২টায় উপজেলার হোয়ানকে ইউনিয়নের লবণ মাঠের পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী জানান, নিহতরা হলেন উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) এবং পানিরছড়া বারঘর পাড়ার মৃত মতনের ছেলে মো. আনছার।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (১৪ মে) সকাল ১০টায় পলিথিন ও লবণ ওঠানোর জন্য আনুমানিক ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কারণে ঠান্ডায় ৬-৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিদওয়ানকে (৩৫) কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুহাম্মদ নেছার নামের একজনের মরদেহ পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেক কৃষককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এছাড়া এলাকাবাসী রাত সাড়ে ১১টায় লবণ মাঠ থেকে খুঁজে মো. আনছারের মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা আরও জানান, হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আরও ১০-১৫ জন লবণচাষি এখনো ঘরে ফেরেনি।

মহেশখালী হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুল হক জানান, মোকার প্রভাবে ঠান্ডাজনিত কারণে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, তিন জনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি।

উপরে