logo
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫৫
বাড়ছে না ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময়সীমা
অনলাইন ডেস্ক

বাড়ছে না ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময়সীমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের অনলাইন প্রক্রিয়া শুরুর পর কারিগরী জটিলতায় প্রায় ৮১ ঘণ্টা বন্ধ থাকায় প্রয়োজনে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তার আর প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে তারা। ফলে আগামী ৩১ মার্চেই শেষ হচ্ছে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া। আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে পহেলা এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ উদ্বোধনের পর ‘ভর্তিচ্ছুদের অতিরিক্ত আবেদনের কারণে’ সার্ভার ডাউন থাকায় আরও সার্ভার স্থাপনের জন্য গত ১১ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া। তখন প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিল কর্তৃপক্ষ।
তবে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘আমরা তখন বলেছিলাম, দরকার হলে সময় বাড়ানো হবে। তবে আমাদের অভিজ্ঞতা বলে এটি আর বাড়াতে হবে না। কেননা প্রথম ৪৮ ঘণ্টাতেই দেড় লাখ আবেদন করে ফেলেছে। এরপর একটি নিয়মিত হারে আবেদন পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ দুই হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করে ফেলেছে।’

এদিকে, এবছর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেওয়ার সুযোগ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তারা পেমেন্ট সম্পন্ন করলেও সেটি আবেদনের প্রফাইলে প্রদর্শিত হয়নি। এমন সমস্যার ক্ষেত্রে ভর্তি অফিসের হেল্পলাইনকে অবহিত করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এরকম সমস্যার ক্ষেত্রে আমরা প্রার্থীকে ট্রানজেকশনের তথ্য দিতে বলছি। আবেদন ফি জমার দেওয়ার ক্ষেত্রে যিনি পেমেন্ট করছেন তার কাছে, যারা আমাদের হয়ে যারা পেমেন্ট নিচ্ছেন তাদের কাছে এবং আমাদের কাছে তথ্য আসে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি সিস্টেম হয়তো ডাউন থাকে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তথ্যটি পাই না। তবে তথ্যটি আমরা নিয়ে নিতে পারি। টাকা খোয়া যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় দুইশ’ আবেদনের ক্ষেত্রে এরকম হয়েছে। সেই তথ্যও আমাদের কাছে আছে। তারা আমাদের জানালে সেটি আমরা সমাধান করে দেব।’