ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
আপডেট : ৫ জুন, ২০২১ ১৩:৩৩

গবেষণায় তুলা বোর্ডের ২২ একর জমি পাচ্ছে বিনা

প্রতিদিন ডেস্ক
গবেষণায় তুলা বোর্ডের ২২ একর জমি পাচ্ছে বিনা

গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণে লক্ষ্যে গাজীপুর শ্রীপুরের তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারের ২২ দশমিক ৫ একর জমি পাচ্ছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)।

সম্প্রতিক কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যদিও এই জমি বিনার কাছে হস্তান্তর আপত্তি রয়েছে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের।

বিনার অনুকূলে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শ্রীপুরের তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারের ১৯, ২০, ২১ ও ২২ ব্লকের মোট ২২ দশমিক ৫ একর জমি বিনা-কে হস্তান্তর করা হবে। তবে দুই প্রতিষ্ঠান জমির মধ্যে কোনো সীমানা দেয়াল দেয়া যাবে না। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ডরমিটরি গেস্ট হাউস ওয়াইফ শেয়ারিং করতে পারবে বিনা।

একই সঙ্গে বিনার বিজ্ঞানীরা বিনার ম্যান্ডেট ক্রপসহ তুলা নিয়ে গবেষণা করবেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

ওই সভায় বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনা ১৯৮৪ সালে জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা শক্তি প্রয়োগ করে পারমাণবিক প্রযুক্তি কোবাল্ট ৬০ গার্মা সোর্স, রাসায়নিক মিউটাজেন ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যন্ত ১৮টি ফসলের ১১২টি উন্নত জাত এবং অনেক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ জাতগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ দেশের কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে ২০১২ সালে উদ্যানতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ৫টি ফসলের আটটি উচ্চফলনশীল উদ্যান ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে এবং উদ্যান ফসলের অগ্রগামী লাইন ও মিউট্যান্ট লাইনের ট্রায়াল চলমান রেখেছে, যা অচিরেই ফল, সবজি, মসলা ও ফুলের বেশকিছু নতুন জাত উদ্ভাবিত হবে। কিন্তু গবেষণা কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি বিনা’য় নেই, ফলে সিডিবি’র জমি পেলে বিনা উপকৃত হবে।

এ সময় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আলহাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ‘সিডিবি’র গবেষণা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তুলার গবেষণার কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এই খামারের (শ্রীপুরের) গুরুত্ব অপরিসীম। তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামার থেকে জমি হস্তান্তর করার সুযোগ সীমিত।’

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি প্রতিষ্ঠানই কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন। ফলে জমি হস্তান্তর করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানই লাভবান হবে। বিনার অনুকূলে জমি হস্তান্তর করা হলে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ডরমিটরি, গেস্ট হাউজ শেয়ারিং করতে পারবে। একই সঙ্গে বিনার বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে তুলা উন্নয়ন বোর্ড গবেষণা কার্যক্রম করতে পারবে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিনার কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারের নূন্যতম ২২/২৩ একর জমি প্রদান করে ভালো প্রকল্প তৈরি করতে পারবে।’

তিনি আরও নির্দেশনা দেন যে, বিনার বৈজ্ঞানিকরা তুলার ডরমেটরি, গেস্ট হাউস ব্যবহার করতে পারবে। দুই প্রতিষ্ঠান জমির মধ্যে কোন বাউন্ডারি ওয়াল থাকবে না। এছাড়া বিনার বৈজ্ঞানিকরা তুলা নিয়ে গবেষণা করবেন।

উপরে